মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৪
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৩, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০২, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০১
মাইক্রোকন্ট্রোলার ও মাইক্রোপ্রসেসরের মধ্যে পার্থাক্য কি কি?
মাইক্রোকন্ট্রোলার এমন একটি নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস যার ভিতরে মাইক্রোপ্রসেসরও থাকে আর এটাই মাইক্রোকন্ট্রোলা এবং মাইক্রোপ্রসেসরের মধ্যে মূল পার্থাক্য। এছাড়াও আরও অনেক পার্থাক্য রয়েছে। যেমন-
* মাইক্রোকন্ট্রোলার মূলত একটি একক চিপ মাইক্রো কম্পিউটার, যেখানে প্রসেসর, র্যাম, রম এবং ইনপুট/আউটপুট থাকে।
আর মাইক্রোপ্রসেসর হলো একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট যা কম্পিউটারেরে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট হিসেবে কাজ করে।
* মাইক্রোকন্ট্রোলার হলো: Intel 8051, Atmel ATmega16 এবং PIC16F877 ইত্যাদি।
মাইক্রোপ্রসেসর হলো: Intel 8086, 80286 এবং 80386 ইত্যাদি।
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৩
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৪, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০২, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০১
মাইক্রোপ্রসেসর কি?
মাইক্রোপ্রসেসর মূলত একটি ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট যা সাধারনত ইনপুট বাসের মাধ্যমে ডাটা ও ইনস্ট্রাকশন গ্রহন করে সেই ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী ডাটা প্রক্রিয়া করে ফলাফল তৈরি করে এবং ঐ ফলাফল আউটপুট বাসের মাধ্যমে আউটপুট ডিভাইসে প্রেরন করে থাকে।
যেমন- মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে কানেক্ট করা কীপ্যাড থেকে কোন কী প্রেস করলে সেটি ইনপুট বাসের মাধ্যমে প্রসেসরে যায় এরপর প্রসেসর আমাদের প্রোগ্রাম অনুযায়ী প্রসেস করে আউটপুট বাসের মাধ্যমে আউটপুট দেয়।
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০২
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৪, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৩, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০১
মাইক্রোকন্ট্রোলার কত প্রকার?
প্রসেসিং ওয়ার্ডের আকার, মেমরি ডিভাইস, নির্দেশনা সেট এবং মেমরি গঠনের উপর ভিত্তি করে মাইক্রোকন্ট্রোলার ভিবিন্নভাবে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
প্রসেসিং ওয়ার্ডের আকারের উপর ভিত্তি করে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
* ৪-বিট মাইক্রোকন্ট্রোলার
* ৮-বিট মাইক্রোকন্ট্রোলার
* ১৬-বিট মাইক্রোকন্ট্রোলার
* ৩২-বিট মাইক্রোকন্ট্রোলার
মেমরি ডিভাইসের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
* সংযোজিত মেমরি মাইক্রোকন্ট্রোলার
* বাহ্যিক মেমরি মাইক্রোকন্ট্রোলার
নির্দেশনা সেটের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
* কমপ্লেক্স নির্দেশনা সেট কম্পিউটার
* রিডাকড নির্দেশনা সেট কম্পিউটার
মেমরি গঠনের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
* ভন-নিউম্যান আর্কিটেকচার মাইক্রোকন্ট্রোলার
* হার্ভার্ড আর্কিটেকচার মাইক্রোকন্ট্রোলার
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০১
মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৪, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০৩, মাইক্রোকন্ট্রোলার: পর্ব-০২
মাইক্রোকন্ট্রোলার কি?
মাইক্রোকন্ট্রোলার হচ্ছে কোন নির্দষ্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণকরী ছোট আকারের একটি কম্পিউটার। যার ভিতরে প্রসেসর র্যাম, রম, ইনপুট/আউটপুট একই সাথে থাকে। যার দ্বারা কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রোগ্রামারের চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম করে কোন নির্দিষ্ট ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আর্থিং: পর্ব-০১
আমাদের বাসাবাড়ি, অফিসে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ চালিত সকল যন্ত্র বা মেশিন (এসি, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, কম্পিউটার এবং ওয়াশিং মেশিন সহ আরও অনেক কিছু) যেগুলোর সাথে থ্রি পিন প্লাগ থাকে ঐ থ্রি পিনের মধ্যে দু’টি পিন একরকম আর একটি পিন একটু মোটা এবং লম্বা।
দু’টির একটিতে লাইন এবং অন্যটিতে নিউট্রাল সংযোগ দিতে হয়। যে পিনটি লম্বা এবং মোটা সেটি অবশ্যই মাটির সাথে সংযোগ থাকতে হয়। যেটিকে আমরা আর্থিং বলি। আর এই পিনটি লম্বা এবং মোটা থাকার কারণ, থ্রি পিন প্লাগটি বোর্ডের সাথে লাগানোর সময় ঐ পিনটি প্রথমে সংযোগ হয় এবং খোলার সময় শেষে বিচ্ছিন্ন হয়। আর শিল্প কারখানায় যেসকল মেশিনের সাথে কোন প্লাগ থাকেনা সেগুলোর বডিতে আর্থিং করতে হয়। এতে বজ্রপাতের সময় অতিরিক্ত ভোল্টেজ (️) এবং মেশিনের বডিতে থাকা বিদ্যুৎ মাটিতে চলে যায়। ফলে মেশিন ভাল থাকে (সহজে নষ্ট হয় না) এবং আমরা বডি স্পর্শ করলেও কোন সক করে না। তাই আর্থিং করা খুব জরুরী।
যখন সক করে তখন শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভয় পায় এবং বয়স্করা অনেক সময় হার্ড এটাক করে, যেটি আমরা কখনওই আশা করি না।